পরিভাষা ও নামের উৎস



হাইপারপ্লাসিয়া (hyperplasia) =কলায় কোষের সংখ্যাধিক্য (হাইপার= অধিক, ~প্লাসিয়া= মোটামুটিভাবে কলায় কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি বা কোষীয় বৈশিষ্ট্য)


মেটাপ্লাসিয়া (metaplasia= একরকম কলার অন্যরকম কলায় পরিবর্তন


টিউমার (Tumor, অর্বুদ)= স্ফীতি (গ্রিক ভাষায়)। পূর্বে প্রদাহ জনিত স্ফীতিকেও টিউমার বলা হত। তবে এখন টিউমার বলতে নিওপ্লাসিয়া বোঝায়।


(সাধারণতঃ সব টিউমরের নামের শেষে ~ওমা অনুসর্গ থাকে, যেমন (মেলানোমালাইপোমা), ও শুরুর অংশে কলার উৎস সম্বন্ধে নির্দেশ থাকে।)

নিওপ্লাসিয়া (neoplasia)= অনিয়ন্ত্রিতভাবে বর্ধনশীল কলা (নিয়ো~ = নতুন)


হ্যামারটোমা (Hamartoma = কলার কোষগুলি এককভাবে স্থানীয় বিশেষীভবন লাভ করলেও সমবদ্ধভাবে কলার ত্রিমাতৃক স্থাপত্য সঠিকভাবে দেওয়ার বদলে জট পাকিয়ে যায়। (অর্থাৎ কোষীয় সংখাবৃদ্ধি খুব একটা অনিয়ন্ত্রিত না হলেও কলাসংগঠন অনিয়ন্ত্রিত)


ম্যালিগ্ন্যান্ট টিউমার (malignant) = অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম এবং ভেদন ক্ষমতাযুক্ত টিউমার = ক্যান্সার


ক্যান্সার মানে কাঁকড়া (সংস্কৃত কর্কট)। স্থানীয় কলা ভেদ করে ম্যালিগ্ন্যান্ট টিউমর যখন অনেক শুঁড়ের মত মাইক্রোমেটাস্টাসিস সম্প্রসারিত করে তখন তাকে দেখতে অনেকটা দাঁড়া-ওয়ালা কাঁকড়ার মত দেখায়।

অ্যানাপ্লাসিয়া (anaplasia) = কলার অপ-বিশেষীভবন (ডি-ডিফারেন্সিয়েশন), অর্থাৎ কলা আগের বিশেষীভূত কলা-বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ভ্রুণীয় বা প্রাক-কলার মত আচরণ করতে থাকে। অ্যানাপ্লাস্টিক অর্থাৎ অ্যানাপ্লাসিয়া-যুক্ত ক্যান্সার সাধারাণতঃ বেশী ক্ষতিকর।


কার্সিনোমা = আবরণি কলা (Epitheilum) উৎসের ক্যান্সার


সার্কোমা = সংযোগ কলা (মেসেনকাইম) উৎসের ক্যান্সার


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ

একজন বেশ্যা এর গল্প

বাত ব্যাথা নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি