ওভারী সিস্ট

🌽ওভারিতে সিস্টের কারুন, লক্ষন,প্রতিকার।

🌴ওভারিয়ান সিস্টঃ-নারীদের পরিচিত একটি রোগ হল ওভারিয়ান সিস্ট বা ডিম্বাশয়ের সিস্ট। ওভারি বা ডিম্বাশয়ে পানিপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়। যেকোন বয়সী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

নারীরা অনেক ধরণের সিস্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন যেমন : ফাংশনাল সিস্ট, পলিসিস্টিক (পিসিওএস) সিস্ট, এন্ডমেট্রিওটিক সিস্ট, ডারময়েড সিস্ট এবং সিস্ট এডোনোমা। তবে একাধিক সিস্টকে একত্রে পলিসিস্ট বলা হয়। ওভারি বা ডিম্বাশয় ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ছোট ছোট সিস্ট পুঁতির মালার মতো ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে রাখে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

🌺কারণ : অনিয়মিত সেক্স লাইফ, হরমোনের সমস্যা, পিরিয়ড, অল্পবয়সে ঋতুস্রাব হওয়ার কারণে সিস্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা। এছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে এ সমস্যা শুরু হয়, দেরিতে বিয়ে, দেরিতে সন্তান নেয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়।

কিছু সিস্ট আছে যা ক্যান্সারিয়াস (ম্যালিগন্যান্ট) হয়। সাধারণ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এই রোগ প্রকাশ পায়। তবে প্রাথমিক পর্যয়ে যদি এ রোগের চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে তার আগে আমাদের সিস্ট হওয়ার লক্ষণগুলো জানতে হবে।

তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক সিস্টের লক্ষণগুলো কী :

🌺অনিয়মিত ঋতুস্রাব ওভারিন সিস্টের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এছাড়া মাসিকের সময় মারাত্মক ব্যথা হয়। বিশেষত মাসিক শুরুর আগে এবং পরের ব্যথা হয়।

🍁 ওভারিতে সিস্ট হলে তলপেট ফুলে যায়। এসইসঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয় এবং তলপেট কামড়ায়।
🍁 সিস্ট হলে অনেক সময় প্রস্রাবে সমস্যা হয়। প্রস্রাবে ব্যথা অথবা অতিরিক্ত প্রস্রাবের বেগ এমনকি বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে।

🍁ওভারিয়ান সিস্ট বড় হলে সাধারণত বমি বমি ভাব হয়। সিস্টের ইনফেকশন বেড়ে যায়।

🍁ওভারিয়ান সিস্ট হলে পেট ফুলে যায় এবং তলপেটে ব্যথার সঙ্গে হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে যদি ক্যান্সার দেখা দেয় তাহলে ওজন কমে যাবে।

🍁 ওভারিতে সিস্ট দেখা দিলে ডায়ারিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। সাধারণ এই সমস্যা নিয়মিতভাবে দেখা দিলে তা এড়িয়ে যাওয়া একদম উচিত নয়।

🍁 ওভারিয়ান সিস্ট হলে পেট ফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়াও হয়ে থাকে।

🍁 ওভারিতে সিস্ট হলে পিঠে চাপ পড়ে এবং তা থেকে ব্যথা সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ এই কারণে থাইয়ে ব্যথা অনুভব করে থাকেন।

এমতাবস্হায় দেরি না করে নিকটস্হ হোমিওপ্যাথের সরনাপন্ন হওয়া আবশ্যক।চিকিৎসক আপনার লক্ষন সাদৃশ্যে ঔষধ নির্বাচন করে দিবেন আপনার দায়িত্ব নির্দেশিত নিয়ম মেনে সেবন করা।মনে রাখবেন একান্ত জরুরী না হলে শরীলের কোন অর্গান কেটে অপারেশন করা মোটেই আপনার আজীবনের সুফল বয়ে আনবে না বরং অপারেশন বিহীন চিকিৎসায় উত্তম।
🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠🐠
🌿সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা
ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ

একজন বেশ্যা এর গল্প

হাইড্রাসটিস ক্যানাডেনসিস 🌍Hydrastis Canadensis