আলোচনায় আরো থাকছে:-ডিসইউরিয়ার ধরন,প্রোস্টেটাইটিস,ইউরেথ্রাইটিস,ক্লামাইডিয়া, গনোরিয়া,সিস্টাইটিস,পাইলো নেফ্রাইটিস।

ইনফেকশনের মাত্রা pus cells 2-4 and Epithelial cells 5-7 HPF.এখন কী করনীয়?
আলোচনায় আরো থাকছে:-ডিসইউরিয়ার ধরন,প্রোস্টেটাইটিস,ইউরেথ্রাইটিস,ক্লামাইডিয়া,
গনোরিয়া,সিস্টাইটিস,পাইলো নেফ্রাইটিস।
🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁
📗ডিসইউরিয়া একটি ভয়াবহ সমস্যা।
প্রস্রাব করার সময় কষ্ট বা ব্যথা অনুভূত হওয়াকে চিকিৎসা পরিভাষায় ডিসইউরিয়া বলে। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই এ সমস্যায় ভুগতে পারেন। বেশি বয়সী পুরুষরা এ সমস্যায় বেশি ভোগেন। একবার কেউ আক্রান্ত হলে বারবার আক্রান্ত হতে পারেন।
মূত্রপথে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বা যৌনবাহিত রোগের কারণে এমনটি হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে রোগ হিসেবে চিকিৎসা করা হয় না। এটা অন্য রোগের উপসর্গ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর কারণ যৌনগত। এ কারণে ডিসইউরিয়ার রোগীর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। উপসর্গ ও কারণের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়।
🍁ডিসইউরিয়ার ধরনঃ-
নিন্মলিখিত কারণে পুরুষের ডিসইউরিয়া বা প্রস্রাব করার সময় ব্যথা হতে পারে।
🍁প্রোস্টেটাইটিসঃ-
এটা হচ্ছে প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ। প্রোস্টেট গ্রন্থি ফুলে গিয়ে মূত্রথলিতে চাপ দেয়। প্রস্রাব করার সময় পুরুষাঙ্গের গোড়ায় ব্যথা অনুভূত হয়। প্রস্রাব করার পরে ব্যথা ক্রমে বাড়তে থাকে।
🍁ইউরেথ্রাইটিসঃ-
ইউরেথ্রাইটিস হল মূত্রনালীর প্রদাহ। এ ক্ষেত্রে মূত্রনালীর মুখে অর্থাৎ লিঙ্গমণ্ডুর ছিদ্রে ব্যথা অনুভূত হয়।
এই ব্যথা প্রস্রাব করার সঙ্গে সঙ্গেই অনুভূত হয়। সাধারণত প্রস্রাব করা শেষ হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়।
🍁এপিডিডাইমাইটিসঃ-
এপিডিডাইমিস একটি নালী যেখানে অণ্ডকোষের শুক্রাণু জমা থাকে।
🍁ক্লামাইডিয়াঃ-
ক্লামাইডিয়া হল ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ যার কারণে মূত্রনালীতে প্রদাহ হয় এবং এর ফলে ব্যথাযুক্ত প্রস্রাব হয়।
🍁গনোরিয়াঃ-
ক্লামাইডিয়ার মতো গনোরিয়াও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এবং এ ক্ষেত্রেও একই রকমের উপসর্গ দেখা দেয়।
🍁সিস্টাইটিসঃ-
সিস্টাইটিস হল মূত্রথলির প্রদাহ। মূত্রনালীর ছিদ্রের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া মূত্রথলিতে ঢুকলে সিস্টাইটিস হয়। এ ক্ষেত্রে ঘন প্রস্রাব হয়, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা করে।
🍁পাইলো নেফ্রাইটিসঃ-
কিডনির প্রদাহকে বলে পাইলো নেফ্রাইটিস। এ ক্ষেত্রে বারবার প্রস্রাব করার ইচ্ছা জাগে। প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত হয় এবং মূত্রনালীতে জ্বালাপোড়া করে।
উপরের কারণ ছাড়া আরও কিছু কারণে ডিসইউরিয়া হতে পারে, যেমন-
* মূত্রথলি অথবা মূত্রনালীতে ক্যান্সার
* মূত্রপথে প্রতিবন্ধকতা
* কিডনিতে অথবা মূত্রথলিতে পাথর
* শারীরিক পরিশ্রমের কারণে মূত্রথলি বা মূত্রনালীতে চাপ পড়ে, যেমন- সাইকেল চালানো কিংবা,ঘোড়ায় চড়া।
🍁উপসর্গ:-
* প্রস্রাব করার শুরুতে কষ্ট হয়। দু’নালে হয় অথবা প্রথমে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব পড়ে। কিছু
ক্ষেত্রে ধীরগতিতে প্রস্রাব হয়।
*প্রস্রাব করার সময় ব্যথা শুরু হয়। ডিসইউরিয়ার কারণের ওপর নির্ভর করে ব্যথা মূত্রনালীর মাথায় অথবা প্রোস্টেটে অথবা মূত্রনালীতে অনুভূত হতে পারে।
* প্রস্রাব করার সময় সর্বদা জ্বালাপোড়া করে।
* ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তবে প্রতিবার প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক ব্যক্তির প্রস্রাবের চেয়ে কম হয়।
* প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয় এবং প্রস্রাবে দুর্গন্ধ থাকে।
* প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
* যৌন মিলনের সময় ব্যথা করে।
কারা ডিসইউরিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণঃ-
যে কারো যে কোনো সময় ডিসইউরিয়া হতে পারে। তবে যাদের বেশি ঝুঁকি রয়েছে:
* পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
* বয়সী পুরুষরা (৬০ বছরের বেশি) বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বয়স্ক পুরুষদের ডিসইউরিয়া হয় মূত্রপথে প্রদাহের কারণে।
* যৌন কাজে সক্রিয় অল্পবয়স্কদের ডিসইউরিয়া হয়ে থাকে। যারা অরক্ষিত যৌন চর্চা করেন তাদের ডিসইউরিয়া বেশি হয়।
* অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের ডিসইউরিয়া বেশি হয়।
🍁প্রতিরোধঃ-
* সর্বদা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে।
* যেসব পুরুষের খৎনা করানো হয়নি, তাদের খৎনা করাতে হবে। প্রস্রাব করার পর লিঙ্গমণ্ডু ভালো করে ধুতে হবে।
* গোসল করার সময় মৃদু সাবান (যে সাবান ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে না) দিয়ে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করতে হবে।
* নিরাপদ যৌন মিলনের অভ্যাস করতে হবে।
* যৌন মিলনের সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে যৌনাঙ্গে আঘাত না লাগে। কনডম ব্যবহার করা যায়।
* ধূমপান পরিহার করতে হবে।
🍁খাবার ও পথ্যঃ-
এ ক্ষেত্রে খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচের পরামর্শ মেনে চলবেন-
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পানিকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। দিনে কমপক্ষে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করবেন। ঘুমাতে যাওয়ার সময় পানি পান করবেন না। তেল ও মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করবেন।
যে খাবার ডিসইউরিয়া কমাতে পারেঃ-
* গম ও বার্লি
* এলাচি
* মাংসের স্যুপ
🍁যে খাবার নিষেধঃ-
* হিং
* অতিরিক্ত আদা ও লবণ
* অতিরিক্ত গরম, মসলা ও তেলযুক্ত খাবার
* মরিচ
মনে রাখবেন ডিসইউরিয়ার চিকিৎসা না করালে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবে ব্যথা অনুভূত হওয়া মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। আপনার উপরেউল্লেখিত কোন কারপনে এমন সমস্যা হচ্ছে তা জেনে তার চিকিৎসা করা উচিত।
তবে যদি এই সমস্যা বেশিদিনের না হয় তার অন্যাতম কারন হতে পারে পানি কম খাওয়া। এইক্ষিত্রে আপনাই প্রতিদিন কম করে হলেও ৩ লিটার পানি পান করবেন।আসুন ডিসইউরিয়া প্রতিরোধে সচেতন হই।
🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁
📣সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা
ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ

একজন বেশ্যা এর গল্প

বাত ব্যাথা নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি